তৈয়বুর রহমান কিশোর,বোয়ালমারী প্রতিনিধি: সাবেক এমপি বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ মাস্টারের মতো এমপি ফরিদপুর-১ আসনে আর হলো না, রউফ স্যার শুধু নেতাদের এমপিই ছিলেন না, তিনি ছিলেন সব শ্রেণীর মানুষের এমপি।

বিশেষ কোন কাজে তার কাছে যাওয়া লাগতো, তা ছাড়া তিনি সব সময় সাধারন মানুষের মধ্যে চলে আসতো, যার কারনে শিক্ষক, কৃষক, শ্রমিকসহ সকলেই তাকে মনের কথা খুলে বলতে পারতো। রউফ স্যারের পরে যারা এমপি হয়েছেন তাদেরকে কখনও সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখা যায়নি, ওই সকল এমপি হলো নেতাদের এমপি, নেতাদের জন্য এমপির কাছে সাধারণ মানুষ যেতে পারে না আর এমপিরা তো সাধারণ মানুষের কথা শোনেনই না, যদি এমপি সাহেবরা সাধারণ মানুষের মধ্যে, বাজার, মহল্লায় আসতো তা হলে সাধারণ মানুষ, সমাজ গড়ারকারিগড় শিক্ষকরা তাদের কথা বলতে পারতো। আর এমপিকে পেলে নেতারা থাকেন ফটো তোলা নিয়ে ব্যস্ত। ফটো তুলতে তুলতে সময় শেষ।

এমপিকে তো সাধারণ মানুষ তাদের মধ্যে চায়, যাতে মনের দুটি কথা বলতে পারে। অনেক প্রার্থীকে দেখছি গণসংযোগ করছেন, কোন প্রার্থীকে কিন্তু চায়ের দোকানে, সাধারণ মানুষের মধ্যে বসতে দেখছি না। ফরিদপুর-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক এমপি আব্দুর রউফ মাস্টারের ছেলে কেন্দ্রীয় আ’লীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুনকে দেখছি তার পিতার মতো, চায়ের দোকানে কৃষক, দিন মুজুরদের সাথে, শিক্ষকদের সাথে, আবার নেতাদের সাথে বসে চা খাচ্ছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন প্রচার করছেন।

সাধারণ মানুষ তাদের এমপি হিসেবে মামুনের মতো লোককে দেখতে চাই। মনে হচ্ছে পিতার মতোই মামুন হয়েছে। এমনই সব কথা বলেন গ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন মানুষ। তারা আরো বলেন, ভোটের সময় এমপি প্রার্থীরা গ্রামের হাট বাজারে আসে গণসংযোগ করেন, এমপি হওয়ার পর আর দেখা মেলে না। আব্দুর রউফ মাস্টারের মতো এমপি হওয়ার পর চায়ের দোকান থেকে শুরু করে পাড়া মহল্লায় কাউকে আসতে দেখা যায় না।